টেকনাফে বিজিবির সাথে বন্দুকযুদ্ধে এক রোহিঙ্গা নিহত, ইয়াবাসহ অস্ত্র উদ্ধার


কক্সবাজারে টেকনাফে নাফনদীর কিনারায় বিজিবির সাথে কথিত বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিন বিজিবি সদস্য গুরুতর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র, ১টি কার্তুজ,১টি গুলির খালীখোসা, ও ২লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বিজিবি।

উদ্ধারকৃত ইয়াবার মূল্য ৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। রবিবার ভোর রাতে এ বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

বিজিবির তথ্য সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের মাধ্যমে বিজিবি জানতে পারে হ্নীলা ইউনিয়ন জাদীমুড়া নাফনদী সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমার হতে একটি বড় ইয়াবার চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। গভীর রাতে দমদমিয়া বিওপিতে কর্মরত বিজিবির একটি টহল দল উক্ত এলাকায় অবস্থান নেয়।

১৯ জানুয়ারি গভীর রাত দেড়টার দিকে মিয়ানমার (লালদ্বীপ) হয়ে একটি নৌকা যোগে মাদক পাচারে জড়িত বেশ কয়েক জন অপরাধী নাফনদী জাদিমুড়া শেকলঘেড়া সীমানা অতিক্রম করার সময় বিজিবি তাদের চ্যালেন্জ করে। এই সময় মাদক ব্যবসায়ীরা বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ী গুলি বর্ষণ শুরু করে। এতে বিজিবির ৩ সদস্য আহত হয়। এরপর আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে নৌকায় থাকা ৩/৪ জন মাদক পাচারকারী সু-কৌশলে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়। গোলাগুলি থেমে যাওয়ার কিছুক্ষন পর ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।

নিহত যুবক হচ্ছে, উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি -৪ ব্লকের বাসিন্দা মোঃ জামাল হোসেনের পুত্র মোঃ আইয়াছ(২৫)।

টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল ফয়সাল হাসান খাঁন জানান হ্নীলা জাদিমুড়া নাফনদী শেকলঘেড়া সীমান্তে মাদক কারবারীদের সাথে গোলাগুলির ঘটনায় এক রোহিঙ্গা মাদক পাচারকারী নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র,গুলি, ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।


আরও পড়ুন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.