নগরীতে চোরাই সিএনজি সহ চোর চক্রের সক্রিয় দুই সদস্য আটক


নগরীর গোয়েন্দা পশ্চিম ও বন্দর বিভাগের অভিযানে ৪টি সিএনজি চালিত অটোরিকশা সহ মোঃ আজাদ হোসেন (৩৩) ও বাবুল মিয়া (৩০) নামের দুইজনকে আটক করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বায়েজিদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃত মোঃ আজাদ হোসেন বায়েজিদ থানাধীন রৌফাবাদ এলাকার হাজী আবুল কালামের বাড়ির আবদুর রহিম সরদারের ছেলে এবং বাবুল মিয়া একই থানাধীন শহীদ নগর এলাকার সাবার আহমদ বাড়ির মৃত গুরা মিয়ার ছেলে বলে জানা যায়।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, ২৭ সেপ্টেম্বর গোয়েন্দা বিভাগে সিএনজি চুরির অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পশ্চিম ও বন্দর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আলী হোসেনের সার্বিক দিক নির্দেশনায়, মোঃ শামীম কবিরের তত্ত্বাবধানে, পুলিশ পরিদর্শক মোঃ কেফায়েত উল্লাহ’র সঙ্গীয় ফোর্স এসআই মোঃ মহসিন রুবেল, এএসআই সুজন চন্দ্র রায়, মোঃ আজাদ রহমান, মোঃ আবদুল খালেক, মোঃ ওমর ফারুক ও তারেক বিন আজীজ সহ নগরীর বায়েজিদ থানাধীন নয়ারহাট এলাকায় অভিযান চালালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পালানোর চেষ্টা করলে মোঃ আজাদ হোসেন ও বাবুল মিয়াকে আটক করা হলেও মোঃ মনির আহমদ (৪৮) ও মোঃ আবদুর শুক্কুর (৪৫) নামের দুইজন কৌশলে পালিয়ে যায়। এসময় আটককৃত আসামিদের হেফাজত থেকে দুটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়।

পরবর্তীতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক রৌফাবাদ এলাকার সোলাইমান ম্যানশন হইতে আরও দুটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়। এসময় আসামিরা স্বীকার করেন চোরাই সিএনজির মালিক মোঃ মনির আহমদ ও মোঃ আবদুর শুক্কুর। মূলত তারাই সিএনজি গুলো বিক্রি করার জন্য আজাদ ও বাবুলকে দেয়।

সূত্রে আরও জানা যায়, আজাদ, বাবুল, মনির ও শুক্কুর তারা নগরীর সিএনজি চোরাই চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন স্থান থেকে সিএনজি চুরি করে এনে নাম্বার প্লেট পাল্টিয়ে বিআরটিএর ভূয়া নাম্বার প্লেট লাগিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে।

আসামিদের বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় এবং পলাতক আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানা যায়।


আরও পড়ুন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.