অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: ওবায়দুল কাদের


দেশবিরোধী অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নকামী সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িকতা নির্মূল করে অসাম্প্রদায়িক ও উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তুলতে শেখ হাসিনার অব্যাহত প্রয়াসকে শক্তিশালী করতে হবে।’

সেতুমন্ত্রী আজ রোববার সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগরসহ বেশ কিছু জেলা কমিটিকে এরই মধ্যেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জেলা কমিটিসহ অন্যান্য কমিটিগুলো একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্যে চূড়ান্ত করা হয়।

প্রস্তাবিত কমিটি জমা দেওয়ার পর আটটি বিভাগের জন্য গঠিত কমিটি স্ব-স্ব বিভাগের আওতাধীন জেলা কমিটি যাচাই বাছাই করে, এরপর দলীয় সভাপতির সম্মতি নিয়ে সাধারণ সম্পাদক চূড়ান্ত অনুমোদন দেন।

যেসব জেলা কমিটি এখনো দেওয়া হয়নি সেসব জেলা কমিটিগুলো যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র চর্চায় শেখ হাসিনা অনন্য নজির স্থাপন করেছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) দলের শৃঙ্খলার বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে। ঘোষিত কোনো কমিটির বিষয়ে কারো অভিযোগ থাকলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ধানমণ্ডিতে সভাপতির কার্যালয়ে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।’

দেশব্যাপী পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে এরই মধ্যে দলের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যে সব কাউন্সিলর বিদ্রোহ করছেন, তারাও কঠোর সাংগঠনিক শাস্তির আওতায় পড়বেন।’ তিনি সবাইকে শৃঙ্খলা মেনে দলের মনোনীত প্রার্থীর বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

একটি স্বার্থান্বেষী মহল করোনার টিকা নিয়ে অপপ্রচার করছে জানিয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি টিকা সংগ্রহের আগেই টিকা ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতির কল্পিত অভিযোগ করেছিল।এখন তারা টিকার ব্যবস্থাপনা নিয়ে মিথ্যাচার করছে। বিএনপির কল্পিত অভিযোগ এবং টিকা নিয়ে অপপ্রচার একসূত্রে গাঁথা।’

সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিএনপি করোনাকালে অসহায় মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে ন্যাক্কারজনক রাজনীতি করছে, যেমনই খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়েও তারা চিকিৎসার চেয়েও রাজনীতি করেছে বেশি। সরকারের অন্ধ বিরোধিতা করতে গিয়ে বিএনপি নিজেদের এখন জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে।’

আজ রোববার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আইয়ুব খানের স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে বাঙালির অভূতপূর্ব জাগরণের দিন আজ। ইতিহাসের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমাদের যে স্বাধীনতার সংগ্রাম, সেই ইতিহাসে ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক।

পুলিশের গুলিতে নিহত নবকুমার ইনস্টিটিউটের ছাত্র মতিউর রহমানকে স্মরণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ২১, ২২ ও ২৩ জানুয়ারি শোক পালনের মধ্য দিয়ে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে গণ-অভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়। ওবায়দুল কাদের শহীদ আসাদের আত্মদানের কথাও স্মরণ করে বলেন, ‘দীর্ঘ আন্দোলন আর ত্যাগের ধারাবাহিকতায় বাঙালি পেয়েছে একটি স্বাধীন দেশ।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বীরের বীরত্বগাথায় উজ্জ্বল বাংলাদেশকে স্বাধীনতার চেতনায় গড়ে তুলেছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় রূপান্তরের মাধ্যমে আমাদের পূর্বসূরিদের ত্যাগের ও আত্মদানের ঋণ শোধ করতে হবে।’


আরও পড়ুন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.