আগ্রাবাদের শিপিং ব্যবসায়ীর অফিসে হুমকি


চট্টগ্রামের আগ্রাবাদকে নগরীর ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র বললে ভুল হবে না। সেখান থেকেই আমদানি-রপ্তানিসহ ব্যবসায়িক সব কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করেন ব্যবসায়ীরা; কিন্তু দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সে এলাকাতে এখন রীতিমতো আতঙ্কে থাকছেন ব্যবসায়ীরা।

বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসে টেন্ডারবাণিজ্য বা চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটছে প্রায়শ। আর প্রতিটি ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা নেতাকর্মীরা। ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ-সংগঠনসহ বিভিন্ন দলের নাম ভাঙিয়ে এসব কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তারা।

গত মঙ্গলবারও ঘটেছে এমনই এক ঘটনা। আগ্রাবাদের এক শিপিং ব্যবসায়ীর অফিসে গিয়ে হুমকি দিয়ে এসেছেন ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা।

এ ঘটনায় ডবলমুরিং থানায় জিডিও করেছেন সেই প্রতিষ্ঠানের ডিজিএম আবদুস সাত্তার। আর অভিযুক্ত এহসান আহমেদ (লুৎফুল এহসান) চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কর্মাস কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। তাছাড়া নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমু-রণি কমিটির যুগ্ম সম্পাদকও ছিলেন। ছোটবেলা থেকে নগরীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তিনি।

পুলিশ, জিডি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একটি ভেনডোর চিঠি দেওয়ার জন্য আগ্রাবাদ এলাকায় অবস্থিত ইউনি ওশান শিপিং লাইন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও এমডিকে হুমকি দিয়েছেন এহসান। সাধারণ ডায়রিতে ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন, গত ২ জানুয়ারি ইউনি ওশান শিপিং লাইন লিমিটেডের অফিসে এসে এহসান আহমদ প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও এমডিকে খোঁজ করেন।

এ সময় ভেনডোর চিঠি চান এহসান। বিপরীতে চেয়ারম্যান ও এমডির সঙ্গে কথা বলে চিঠি নেওয়ার কথা বলেন ছাত্তার। এর কিছুদিন পর ফোনে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও এমডিকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন ও গালাগাল করেন এহসান।

সে ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দলবল নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির অফিসেও আসেন। তবে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও এমডিকে না পেয়ে আবারও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

ইউনি ওশানের এমডি অঞ্জন মজুমদার কালবেলাকে বলেন, ব্যবসা করতে হলেও তো একটি প্রক্রিয়ায় করতে হয়। তা না করে এহসান বিভিন্ন রকম হুমকি-ধমকি দেন। জোর করে ভেনডোর নিতে চান।

সোমবার অফিসে এসে গালাগাল করে গেছে। আর মঙ্গলবার এসে আমরা অফিসে নেই বলার পরও তল্লাশি করে গেছে। তাদের যন্ত্রণায় আগ্রাবাদের কোনো ব্যবসায়ী সুখে নেই।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এহসান আহমেদ বলেন, আমি ব্যবসা করি বিষয়টি ঠিক; কিন্তু ব্যবসার কাজে কাউকে হুমিক দেইনি। তাদের অফিসে আমি ব্যবসার কাজে গিয়েছিলাম। চেয়ারম্যান-এমডি না থাকায় আমি চলে এসেছি। সেখানে কোনো ধরনের ঝামেলা বা তল্লাশি চালাইনি।

চট্টগ্রাম ডবলমুরিং থানার ওসি সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটা সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। তদন্ত করে দেখছি। তবে দোষী হলে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।


আরও পড়ুন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.