বান্দরবানে নানা আয়োজনে শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মবার্ষিকী পালন


মোঃ শহীদুল ইসলাম রানা, বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন আজ। ১৯৬৪ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি-বিজড়িত ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরে ‘বঙ্গবন্ধু ভবনে’ শেখ রাসেল জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার ঘৃণ্য শত্রু-খুনি-ঘাতক চক্রের নির্মম বুলেটের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নরপিশাচরা নিষ্ঠুরভাবে শিশু রাসেলকেও হত্যা করেছিল। মৃত্যুকালে তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

এরই ধারাবাহিকতায় দিবসটি উপলক্ষে ১৮ অক্টোবর সোমবার বান্দরবান জেলা প্রশাসক, বান্দরবান পার্বত্য জেলার আয়োজনে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।কর্মসূচির মধ্যে ছিলো সকাল ৭ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সম্প্রতির মঞ্চে শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা সকাল ৯.৩০ এ কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার, দিবসটির প্রতিপাদ্য ভিত্তিক আলোচনা, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ, শ্রেষ্ঠ শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব সমূহে সনদ প্রদান, এলইডিপি-র ফ্রীল্যান্সারদের ল্যাপটপ প্রদান, বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে তাল চারা বিতরণ, যুব সংগঠনের মাঝে কম্পিউটার বিতরণ, লাইব্রেরিতে বই হস্তান্তর এবং চাকুরীরত অবস্থায় মৃত কর্মচারীদের পরিবারের নিকট আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরিজীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ নাজিম উদ্দীন , জেলা সিভিল সার্জেন ডাঃ অংসুইপ্রু মারমা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ লুৎফর রহমান,এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ.কে.এম জাহাঙ্গীর, পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র সৌরভ দাশ শেখর সহ জেলা প্রশাসক এর উর্ধতন কর্মকর্তা, সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উর্ধতন কর্মকর্তা, জেলার বিভিন্ন স্কুল থেকে আগত ছাত্র ছাত্রী ও বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিকস্ ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যম সংবাদ কর্মী।

আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত ও শেখ রাসেল ও বঙ্গবন্ধু পরীবারের সদস্যদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের ঘটনা দেশের ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। সেদিন ঘাতকের নগ্ন থাবায় রেহায় পায়নি বঙ্গবন্ধু পরীবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য শেখ রাসেল। শিশু কাল থেকেই শেখ রাসেল ছিলো একজন মেধাবী ছাত্র। বর্তমানের শিশু কিশোরদের জন্য শেখ রাসেল হতে পারে একটি অনুপ্রেরণার নাম।


আরও পড়ুন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.