চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের ৫ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন


গণপরিবহন চালুর অনুমতি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক পরিবহন মালিকদের ব্যাংক ও কিস্তির সুদ মওকুফ সহ ৫ দফা দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ। রবিবার (২ মে) সকালে নগরের স্টেশন রোডে আন্তঃজিলা বাস মালিক সমিতির কনফারেন্স হলে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন পরিবহন মালিকরা।

সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু বলেন, ‘করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে গণপরিবহন কয়েকবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু লকডাউনে যখন গণপরিবহন চালানোর নিষেধাজ্ঞা থাকে তখনও পরিবহনের প্রাতিষ্ঠানিক খরচ বন্ধ থাকে না। বিভিন্ন পরিবহন সার্ভিসের প্রধান ও শাখা কার্যালয়ের অফিস ভাড়া, স্টাফদের বেতন ইত্যাদি মালিকদের বহন করতে হয়। পরিবহন শ্রমিকরাও হয়ে পড়ে বেকার। অন্যদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুই সিটে এক যাত্রী এবং ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়ায় যখন গণপরিবহন চালানোর সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় তখনও মালিকদের দুই ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। তারপরও গণপরিবহন চালু থাকলে কোন রকমে অস্তিত্ব বজায় রাখা যায়।’— লিখিত বক্তব্যে বলেন মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু। তিনি আরও বলেন, ‘বৃহত্তর চট্টগ্রামে গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহন মিলে কমপক্ষে এক লাখ শ্রমিক রয়েছে। প্রতিদিন ৫০০ টাকা বেতন ধরলেও দৈনিক ৫ কোটি টাকা আয় থেকে শ্রমিকরা বঞ্চিত হচ্ছে। তাই সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে ঠিক করতে হবে- দেশে পরিবহন সার্ভিসের আদৌ প্রয়োজন আছে কি না?’

এসময় তারা ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিসমূহ হলো- বিনা সুদে সড়ক পরিবহন মালিকদের ঋণ প্রদান করতে হবে, করোনাকালীন সময়ে এক বছরের জন্য ব্যাংক ঋণ ও কিস্তির সুদ মওকুফ করে দিতে হবে, কিস্তির টাকার জন্য হয়রানি ও মামলা প্রদান বন্ধ করতে হবে, করোনা মহামারি সমাপ্তি হওয়া পর্যন্ত ডকুমেন্ট হালনাগাদ করার সময় বৃদ্ধি করতে হবে এবং সকল পরিবহন শ্রমিকদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি মো. মূছা, সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ।


আরও পড়ুন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.